মার্গারেট

— ঘোসবাবু, হাইট অফ মোরাল করাপসান কী জানেন?
— অাঃ, লেখার চেষ্টা করছি, অার সময় পেলেন না ফোন করার?
— লিখা? অাপ লিখেন ভী? পতা নেহী থা।
— দেখুন মশাই, অনেকদিন লেখা হয় নি, লোকজন উতলা হচ্ছে। ইয়ার্কী ভালো লাগছে না, সারকাজম তো একদমই না। ছেড়ে দিন প্লীজ, লিখি।
— হামি তো সেই ভেবেই অাশচারিয়া হোচ্ছি। অাপকা লিখালেখি কা হুয়া কেয়া?
— অারে বাড়ির ঝামেলা হাজারো…বোঝেনই তো।
— নেহী ঘোসবাবু, বুঝি না। কার ঝমেলা থাকে না বোলুন? অাপ স্পেশ্যাল ট্রীটমেন্ট কিঁউ চাহতে হ্যাঁয়?
— ঘাট হয়েছে, স্পেশ্যাল ট্রীটমেন্ট চাইছি না। লিখতে দিন দয়া করে।
— তো অাপ লিখিয়ে না, ডিস্টার্ব কৌন কর রহা হ্যায়?
— অাপনিই তো ফোন করে বসে অাছেন।
— অাউর অাপ ভী ফোন পিক অাপ করেছেন, বাত ভী কর রহে হ্যাঁয়। কল কাট করছেন না।
— না, তা করছি না।
— করতে পারতেন কিন্তু, এনিটাইম। অাই উড নট হ্যাভ মাইন্ডেড।
— দেখুন অামি যত্রতত্র ফোন কেটে দি না, ওটা অভদ্রতা।
— হামি যদি পারমিশনও দি, কাটবেন?
— হুম। না।
— কোয়েশ্চেন ইজ, কেনো?
— হুম।
— হামি বোলি?
— বোলেন…মানে, বলুন।
— অাপনি গোল্পের প্লোট পাচ্ছেন না, তাই হামার সঙ্গে বাতচীত করে চেষ্টা কোরছেন প্লোট পেতে।
— এইটা অাপনার অ্যানালিসিস?
— হাঁ। অ্যান্ড অাই নো অাই অ্যাম রাইট, ইজন্ট ইট, ঘোসবাবু?
— {দীর্ঘশ্বাস ফেলে, টেবিলের কাগজ-টাগজ উড়িয়ে দিয়ে…}
— অারে হামিও বুঝেছিলাম, অাপনার হেল্প লাগবে।
— কী হেল্প করবেন শুনি।
— বোলা না হামনে, হাইট অফ মোরাল করাপসান।
— সে অাবার কী?
— কেয়া চীজ অাপনিই বোলুন না? কী মনে হয়, ইন দিস ওয়ার্ল্ড–রাদার, ইন দিস নেশান, হোয়াট ইজ দ্য হাইট অফ মোরাল করাপসান?
— হিপোক্রিসি?
— হিপোক্রিসি? উও তো করাপসান নেহী ঘোসবাবু।
— তাহলে?
— বোলার অাগে দুটো বাত বলি।
— বলুন।
— এক। অাপ কুছ দিন পহলে এক ছোটা লিখা লিখা থা। উও কেয়া ক্যারাক্টার থা, পিটার ভগীরথ?
— বাঃ, অাপনার মেমারি তো খুব শার্প।
— মস্করা করছেন ঘোসবাবু?
— অাপনার সঙ্গে মস্করা? অামার হেডে কটা মাথা শুনি।
— ঘোসবাবু, হামি অাপনার ফ্রেন্ড। হামি একবার ফ্রেন্ডশিপ কোরলে খুব খারাপ ইন্সিডেন্ট না হলে দোস্তি তোড়ি না।
— কেন সেরকম হয়েছে নাকি?
— না। অ্যান্ড অাই হ্যাভ ফুল ফেথ যে হোবেও না। ইউ অার অ্যান ওকে ম্যান ঘোসবাবু।
— থ্যাঙ্ক ইউ।
— বাট, যে হামার ফ্রেন্ড না, সে এরকম হামার সাথে মস্করা কোরলে অাই ক্যান বী অা ভেরি অানসেফ ম্যান টু হ্যাভ অ্যারাউন্ড।
— হলুদের মতো?
— হলুদ অাপনার ফিকশনাল খুনি, সাইকোপ্যাথিক কিলার। কেওটিক অাদমী…অাগর অাদমি হি হ্যায়। উও অাবার মুর্গিদের সাথে কোথাও বলে। হলুদের সঙ্গে হামাকে তুলোনা কেনো কোরছেন ঘোসবাবু? হামি অাপনার ওই এম. প্রভুর মতো।
— এম. প্রভুর মতো? মানে?
— মানে অাপনার নয়া ক্যারেক্টার ঘোসবাবু। কল রাত জিসকো অাপ সোচকে বনায়া। ক্যালাব্যাশ পাইপ।
— বুঝলাম না। অামি তো কাউকেই বলি নি এনার কথা…মানে অন্তত নামটা কাউকে বলি নি। অাপনি জানলেন কীকরে?
— অামার মেথড্স অাছে ঘোসবাবু।
— অাপনি তো ডেঞ্জারাস লোক মশাই।
— সেটা কি অাপনি জানতেন না?
— তা জানতুম। ডেঞ্জারাস, বাট হাইলি ইন্টারেস্টিং।
— থ্যাঙ্ক ইউ। অাই ওয়াজ স্পীকিং অফ পিটার ভগীরথ। উও দো মিনিট ওয়ালা কাম্পানি ড্রিঙ্কিং ওয়াটার লেকার ওয়ার্ল্ড মে জো কর রহা হ্যায়, উসকে বারে মে অাপলোগ বাত কর রহে হ্যাঁয়, ইট ইজ গুড।
— ভেবে দেখুন। নমো গঙ্গের কাল্পনিক পৃথিবী বাস্তব করার চেষ্টায় লেগে অাছে এরা।
— রাইট। অর ইয়ে সব লোগ সাকসেসফুল ভী হোঙ্গে, অগর কোই ইসে ন রোকে।
— কিন্তু অামরা ছাপোষা লোক, অামরা লিখতে পারি। অামরা থামাবো কীভাবে?
— সেকেন্ড বাত বোলি ঘোসবাবু। বোলুন তো, ইন্ডিয়ার ফেভারিট উওম্যান কে।
— ফেভারিট? ওরে বাবা, সে তো অনেক থাকতে পারে। বিভিন্ন জগতে বিভিন্নজন। মানে এভাবে ফেভারিট বাছা…
— ওক্কে, ফেভারিট ম্যান?
— অাচ্ছা। এটা সহজ…মানে সহজতর। ধরুন, যদি রাজনীতি ধরি, তাহলে বছরখানেক কি দেড়েক অাগেও স্ট্যাটিস্টিকালি নরেন্দ্র মোদী গোটা ভারতবর্ষে, বাঙলাদেশে অবশ্য নেতাজী। যদি বিনোদন বা খেলার জগত ধরি, তাহলে সচিন…
— অাপনি সচিন লিখেন?
— লিখবো না? ওটাই তো নাম।
— লেকিন অাপ তো বঙ্গালি হ্যাঁয়। অাপ ক্যায়সে প্রোনাউন্স করবেন নামটা?
— ইয়ে মানে, অামিও সচিনই বলবো। কী করবো বলুন, ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলে…
— শচীন বোলবেন না?
— সে তো অানন্দবাজার সেই নব্বুইয়ের দশকেই ব্যান করে দিয়েছিলো।
— ইয়ে তো অাপকা পার্সোনাল ব্লগ হ্যায় ঘোসবাবু, লিখুন লিখুন। অাপকো তো শ পসন্দ হ্যায়, শাদা লিখেন।
— হ্যাঁ, ওটাই বেশি পছন্দ। যা বলছিলুম, খেলার জগতে সচ…শচীন তেন্ডুলকর। বিনোদনে অমিতাভ বচ্চন…
— শাহরুখ নেহী?
— শাহরুখও হতে পারে। বিজ্ঞানের জগতে তেমন কাউকেই দেখছি না, দুঃখের বিষয়। সাহিত্যের জগতে–অার এই কথা বলতে বেশ কষ্ট হচ্ছে–চেতন ভগত।
— অার্ট? মিউজিক? ফিল্ম ডিরেকশন?
— অার্ট খুব বেশি জানি না। মিউজিক–অাবার কষ্ট হচ্ছে–হানি সিং। ডিরেকশন সৃজিত?
— সৃজিত? ইন্ডিয়ার?
— না। তাহলে কে, রোহিত শেট্টি নির্ঘাত।
— অাপনার লেংথ অ্যান্ড ব্রেডথ অফ নলেজ দেখে হামি রিলীভড, ঘোসবাবু,…
— বলছেন? হেহে, কতটুকুই বা জানি…
— …অাপনার হয়ে সিভি লিখতে হলে জলদি হয়ে যাবে। সব নিল হ্যায়।
— নিল? মানে অামি কিছুই জানি না বলতে চাইছেন?
— বোলতে চাইছি না ঘোসবাবু…বোলছি। জানেন কম, বোঝেন অাউর ভী কম। বাট দ্যাট ইজ গুড। যারা কম জানে কম বোঝে তারা সেফ।
— অাপনি মশাই যা হেঁয়ালি করেন কখনও, স্রেফ মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় লেজ নাড়তে নাড়তে।
— হামাকে এবার বোলতে দিন, ইন্ডিয়ার ফেভারিট উওম্যানের নাম।
— বলুন দেখি।
— মার্গারেট।
— মার্গারেট? মানে, মার্গারেট নোবেল? সিস্টার নিবেদিতা? হুম, খুব খারাপ বলেননি, কিন্তু অাজকাল উনি অাবার ফেভারিট হতে যাবেন কেন? অাজকাল ওনার নাম কয়জনই বা জানে?
— নোবেল নেহী ঘোসবাবু, ইসমে নোবেল কুছ ভী নেহী হ্যায়। ইয়ে ভী ফরেনারই অাছেন, লেকিন ইয়ে মার্গারেট অাইরিশ নেহী, সুইস হ্যাঁয়।
— সুইস মার্গারেট? বাপরে। কে ইনি?
— অাউর এক হিন্ট দিচ্ছি। ইনার সোঙ্গে ফুল ইন্ডিয়ার লাভ অ্যাফেয়ার অাছে। মাঝে কিছুদিন ব্রেক অাপ ছিলো, অাবার রিসেন্টলি স্টার্ট হয়েছে।
— মাঝে কিছুদিন ব্রেক অাপ…মার্গারেট…ওওও…মাই গড। বুঝেছি।
— দুমিনিটের বেশি লাগলো ঘোসবাবু।
— মার্গারেটকে যে শর্ট ফর্মে অানতে হবে কীকরে জানবো? কেউ তো বলে না এভাবে।
— কোন কাম্পানি ঘোসবাবু? দুমিনিটের কাম্পানি তো?
— হ্যাঁ।
— অাউর অাপ ঘোসবাবু, অাপ জো ইতনা লিখলেন, পিটার ভগীরথ, ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ট্যাক্স, অাপ ভী মার্গারেটের প্রেমে ফির সে পরলেন?
— কী করবো বলুন। মার্গারেটের টান। না মেনে যাই কোথায় বলুন। অার ইন মাই ডিফেন্স, খিদে পেয়েছিলো।
— ঘোসবাবু?
— বলুন।
— দিস। ইজ। হিপোক্রিসি।

সোমদেব ঘোষ, ৯ জানুয়ারি, বিকেল সাড়ে চারটে, ২০১৬ সাল, কলিকাতা শহর।

2 thoughts on “মার্গারেট

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান